ফোনটির ডিজাইনে আইফোনের ছোঁয়া রয়েছে। প্রথম দেখায় ডিভাইসটিকে আইফোন ১০-এর মত মনে হবে। তবে মিডরেঞ্জ ফোন হিসেবে ডিজাইন বেশ সুন্দর ও প্রিমিয়াম করার চেষ্টা করেছে অপ্পো।
নচ ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ফোনের সামনের প্যানের কোন বাটন নেই। পিছনে রয়েছে ক্যামেরা ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ফোনের ব্যাক প্যানেলটি গ্লাসের মত মনে হলেও মূলত প্লাস্টিকের এটি। তবে ফিনিশিংটা দারুণ ও চকচকে। প্লাস্টিকে দাগ পড়ার সম্ভাবনা থাকে তাই কেইস ব্যবহার না করলে অপ্রত্যাশিত ক্ষতি হতে পারে।
ফোনটির বাম পাশে রয়েছে ভলিউম আপ ও ডাউন বাটন। ডান পাশে রয়েছে পাওয়ার বাটন ও সিম কার্ড স্লট। সেখানে দুইটি সিম ও মাইক্রোএসডি কার্ড লাগানো যাবে। ফোনটির নিচের দিকে রয়েছে স্পিকার, মাইক্রো ইউএসবি ২.০ পোর্ট ও ৩.৫ এমএম অডিও জ্যাক।
ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে ফোনটিতে রয়েছে ৬.২৩ ইঞ্চি নচ ডিসপ্লে। ১০৮০*২২৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের ফোনটি ৪০৫ পিপিআই ডেনসিটি সমৃদ্ধ। ডিসপ্লেতে ভিডিও দেখা বা গেইম খেলতে তেমন অসুবিধা হবে না। ভালো ভিউ এঙ্গেল পাওয়া যাবে। তবে উপরের দিকে নচ থাকায় প্রথম অবস্থা কিছুটা অসুবিধা মনে হলেও কিছুদিন ব্যবহারে তা অভ্যস্থ হয়ে যাবেন।
হার্ডওয়্যার
ফোনটিতে অক্টাকোর মিডিয়াটেক হেলিও পি৬০ চিপসেটের প্রসেসর রয়েছে। গ্রাফিক্স সুবিধা দিতে আছে মালি জি৭২ এমথ্রি। ৪ ও ৬ গিগাবাইট র্যামের ফোনটি যথাক্রমে ৬৪ ও ১২৮ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরি সংস্করণে পাওয়া যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিওর ওপর তৈরি কালারওএস ৫ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে এটি। এছাড়া আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, এফএম রেডিও, জিপিএস ইত্যাদি সুবিধা।
ক্যামেরা
ফোনটির পেছনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল, এফ/১.৮ অ্যাপার্চারের ক্যামেরা ও এলইডি ফ্ল্যাশ। এতে রয়েছে জিইও ট্যাগিং, এইচডিআর ও প্যানোরমা সুবিধা। সেলফি ও ভিডিও চ্যাটের জন্য সামনে রয়েছে এফ/২.০ অ্যাপাচারের ২৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। উভয় ক্যামেরা দিয়ে এইচডি ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। সামনে থাকা ক্যামেরা দিয়ে রাতে বা লো লাইটে ভালো ছবি তোলা যাবে।
ব্যাটারি:
এর ব্যাটারি ৩৪০০ মিলি-অ্যাম্পিয়ারের। একবার চার্জে প্রায় পুরো দিন চলবে।
দাম:
ফোনটির দুটি সংস্করণ বাজারে ছাড়া হয়েছে, যার মধ্যে ৪ গিগাবাইট র্যাম আর ৬৪ গিগাবাইট স্টোরেজ সংস্করণটির মূল্য ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৯৯০ টাকা। ৬ গিগাবাইট র্যাম ও ১২৮ গিগাবাইট স্টোরেজ সংস্করণটি বিক্রি করা হবে ৩৫ হাজার ৯৯০ টাকা।